পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৫০ হাজার জাল টাকা লেনদেনের মামলায় অভিযুক্ত একজনকে ১৪ বছর ও চারজনকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে পিরোজপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
আদেশে অভিযুক্ত রনি খানকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া অভিযুক্ত সাফা দত্ত ওরফে স্বপন, মুনান হাওলাদার, বাবু শেখ ও শাহাদাৎ পঞ্চায়ত প্রত্যেককে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত রনি খান (৪০) মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা গ্রামের মোহাম্মদ দুলাল খানের ছেলে, সাফা দত্ত ওরফে স্বপন (৪৫) সদর উপজেলার মূলগ্রাম এলাকার মৃত কার্তিক দাসের ছেলে, মুনান হাওলাদার (৩৫) সদর উপজেলার ওদনকাঠী এলাকার ওয়ারেস হাওলাদারের ছেলে, বাবু শেখ (৩০) সদর উপজেলার মূলগ্রাম এলাকার শাহজাহান শেখের ছেলে এবং শাহাদাৎ পঞ্চায়েত (৪০) মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরা এলাকার আদম আলী পঞ্চায়েতের ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ১২ জুন পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জাল টাকা লেনদেনের সময় রনি খানকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। তবে রনির সাথে থাকা অপর আসামি সাফা দত্ত ওরফে স্বপন, মুনান হালাদার, বাবু শেখ ও ও শাহাদাৎ পঞ্চায়েত পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্য আসামিরা জাল টাকা ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে রনি স্বীকার করে। পরে ২০১৭ সালের ১২ মে পুলিশ এই মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতের বিচারক এ মামলার ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এই রায় প্রদান করেন। বিচারকের আদেশের সময় আদালতে শাহাদাৎ পঞ্চায়েত ছাড়া অন্য আসামিরা পলাতক ছিল।