গ্রামের মানুষের চিকিৎসা এবং পঙ্গুত্বরোধের জন্য ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (IFB) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক এটি চালু হয়। সংস্থাটি ১৯৯৩ সালের ২৫ জুলাই ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। ইমপ্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে ‘জীবন তরী’ নামে পরিচিত বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি ভাসমান হাসপাতাল চালু করে এবং আজ পর্যন্ত তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
হাসপাতালের প্রশাসক মো: আলাউদ্দিন জানান, গত ৩০শে আগস্ট তারা ভান্ডারিয়ায় এসে পৌঁছান এবং ১লা সেপ্টেম্বর থেকে তারা তাদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করেন। তিনি আরো জানান, ১০ শয্যার বেডের হাসপাতালটিতে চারজন চিকিৎসক নিয়োমিত চিকিৎসা সেবা দিবেন।
এই হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন, রোগীর চাহিদা অনুযায়ী লেন্স সংযোজন, নাক-কান-গলা, জন্মগত মুগুর পা, বাকা পা, ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের চিকিৎসা ও অপারেশন, অর্থপেডিক বিভিন্ন সমস্যাজনিত শারীরিক ব্যথা ও মাজা ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেয়া হবে ভাসমান এই হাসপাতাল থেকে।
মো: আলাউদ্দিন আরো জানান, এই হাসপাতালে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও বিশেষজ্ঞ সার্জন রয়েছে এবং ভান্ডারিয়ায় অবস্থানকালে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে স্থানীয় শিক্ষক, ইমাম, সরকারি বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও পল্লি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
৫০ টাকার টিকেট কেটে চিকিৎসা নেয়া যাবে এ হাসপাতাল থেকে। তবে অপারেশনের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য টেস্টের আলাদা খরচ রোগীকে বহন করতে হবে। অপারেশনের পর রোগীরা ভাসমান হাসপাতালে থাকবেন। তাদের খাবারের ব্যবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করবে।
হাসপাতালে রোগীদের ছানি অপারেশনের পরে লেন্স বসানো প্রয়োজন হলে তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে ২২ হাজার টাকার প্যাকেজ রয়েছে। তবে অসহায় ও গরীব রোগীদের জন্য বিশেষ ছাড় রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব-লক্ষীপুরা গ্রামের বাসিন্দা এস এম সাকিব জানান, ভাসমান এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান অনেক ভালো এবং সাশ্রয়ী।