পিরোজপুরের নাজিরপুরে শ্রেণি থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুওে উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের লেবুজিলবুনিয়া গ্রামের লেবুজিলবুনিয়া ফাজিল মাদরাসায়। শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে পরে ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ও তারা হামলাকারীদের বহন করা একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করেন। পরে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
হামলায় আহত শিক্ষক মো. বদিউজ্জামান ওই মাদরাসার আরবী বিভাগের শিক্ষক। আর হামলাকারীরা হলেন ওই ইউনিয়নের ঝিলবুনিয়া গ্রামের মো. শরিফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই সেনা সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম।
হামলায় আহত শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানান, ওই শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় শরিফুর ও তার ভাই সেনা সদস্য রফিকুল তাকে ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। সেনা সদস্য রফিকুল পটুয়াখালীর লেবুখালী সেনা ক্যাম্পে চাকুরীরত আছেন।
এ ব্যাপারে বৈঠাকাটা ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সেপেক্টর মো. আউয়াল জানান, খবর শুনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছেন। তার পরও কোন অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চেয়ারম্যান জানান, নারী ঘটিত একটি বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। তাই উভয়ের মান সম্মানের চিন্তা করে বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে ওই সেনা সদস্যকে শিক্ষকের পা ধরে মাফ চাওয়ানো হয়েছে।
ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, শিক্ষক বদিউজ্জামানেরও অপরাধ রয়েছে। তাই পুলিশ উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। শুনেছি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিটমাট করে দেয়া হয়েছে।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল সাদীদ জানান, শিক্ষককে মারধরের খবর শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। পরে কি হয়েছে তা জানি না।