কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ছেলে আশরাফ উদ্দিন শিপন। বাবা-মা, দুই ভাই ও এক বোনসহ পরিবারে পাঁচজন সদস্য। দিনমজুর বাবার রোজগারের টাকায় কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে চলে তাদের সংসার। জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শিপনের বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। কলেজে প্রতিদিন হেঁটে যেতে হয় তাকে। তাই শিপনের কষ্ট দূর করতে জেলা পরিষদ থেকে উপহার হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছে একটি বাইসাইকেল।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে কলেজছাত্র আশরাফ উদ্দিন শিপনের হাতে বাইসাইকেলটি তুলে দেন পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। অভাবের সংসারে কলেজে যাওয়ার জন্য বাইসাইকেল কেনা তার কাছে ছিল স্বপ্নের মতো। তাই উপহার পেয়ে ভীষণ খুশি সে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, কলেজছাত্র শিপন জানতে পারে, জেলা পরিষদ থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হয়। পরে সে জেলা পরিষদে বাইসাইকেল চেয়ে একটি আবেদন করে। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদ তাকে ১৫ হাজার ৭০০ টাকায় একটি বাইসাইকেল কিনে উপহার দিয়েছে।
কলেজছাত্র আশরাফ উদ্দিন শিপন বলেন, প্রতিদিন তাকে তিন কিলোমিটার হেঁটে কলজে যেতে হতো। এতদিন অনেক কষ্ট করতে হয়েছে আমাকে। প্রায়ই নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। তবে সাইকেল পেয়ে আমার সুবিধা হয়েছে। এখন সাইকেল চালিয়ে সময়মতো কলেজে যেতে পারব। জেলা পরিষদে আবেদন করে বিনামূল্যে সাইকেল পাওয়া যাবে, তা ভাবতেই পারিনি। জেলা পরিষদের এই সহযোগিতা আমাকে পড়াশোনার জন্য আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আজ কলেজ শিক্ষার্থী শিপনকে একটি বাইসাইকেল দেওয়া হয়েছে যার বাজার মূল্য ১৫ হাজার ৭০০ টাকা। আশা করছি এই বাইসাইকেলে করে শিপন কলেজে যেতে পারবে। কিছুটা হলেও তার কষ্ট লাগব হবে। জেলা পরিষদ বিভিন্ন সময় সহায়তা দিয়ে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়।