পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্ত্রীর মর্যদা পেতে রবিউল ইসলাম খান (২৬) নামে এক যুবকের বাড়িতে এক কিশোরী অনশনে বসেছে। এ সময় রবিউল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজন বসতঘরে তালা দিয়ে আত্মগোপনে গেছেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকাছিমা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরীর বাড়ি একই গ্রামে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী। অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম খান ওই গ্রামের ছালেক খানের ছেলে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা জানান, তার একমাত্র মেয়েকে বিয়ে করতে রবিউল ও তার পরিবার তাকে (কিশোরীর পিতা) বিভিন্নভাবে চাপ দেয়। পরে গত বছরের ৬ আগষ্ট পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়; কিন্তু মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে তারা স্থানীয় হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে। বিয়ের পর থেকেই রবিউল যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে মারধরসহ চাপ দেয়। পরে তার চাহিদামতো এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়। ঈদের আগে আবারো ব্যবসার কথা বলে টাকা আনতে বললে মেয়ে অস্বীকৃতি জানায়। এতে তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় ও ঘরে তালা দিয়ে পরিবারের সবাই অন্যত্র চলে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল সাদীদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা একটি মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। আমি তাকে ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।
শনিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, ওই কিশোরী তার স্বামী রবিউলের ঘরের দরজার সামনে অবস্থান করছে। সে জানায়, স্ত্রীর মর্যদা চাই। গত ৪ দিন ধরে স্বামী রবিউল ও তার পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রবিউল জানান, ওই কিশোরীকে তিনি কোনোভাবেই বিয়ে করেননি। তার বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।