পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সদের অবহেলায় মো. সজিব (১৪) নামে এক দৃস্টি প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার( ৮ মে) সকালে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
নিহত সজিবের বাড়ি ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামের মোজাম্মেল উকিল এর ছেলে। তার পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তির ৫ ঘণ্টায় ও কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি তাকে। পরিবারের অভিযোগের পর এ ঘটনায় ডা. রেজাউল ইসলামকে প্রধান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মৃত কিশোরের মা শিল্পী বেগম অভিযোগ করে জানান, সজিব বাড়িতে বসে কয়েকবার বমি করলে ভোর ৫টার দিকে সজিবকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তখন পুরুষ ওয়ার্ডে কোন বেড খালি না থাকায় মহিলা ওয়ার্ডের খালি বেডে নিয়ে গেলে কর্তব্য সেবিকারা তাদের সঙ্গে অসাদাচরন করেন। তারা বেড থেকে রোগীকে মেঝেতে নামিয়ে দেন। নার্সদের অনুনয় বিনয় করলেও চিকিৎসা দেন নাই নার্স। ভর্তির ৫ ঘন্টা পর যখন ডাক্তার এসে স্যালাইন দেয় ততক্ষণে সজীব মারা যায়।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি জানান, কিশোর সজিব বমি ও বুকে ব্যাথা নিয়ে সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সেবিকারা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে অসাদাচরন এবং দায়িত্বে অবহেলার প্রাথমিক ভাবে প্রমান মিলেছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, নার্সরা আমার অধিনে হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়। তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি শিশু অক্সিজেনের অভাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে নার্সদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তার প্রতিবেদন আলোতে আসেনি।